এছাড়া ১২-১৩ জনের নামের বিপরীতে ব্যবহার করা হয়েছে আরও কয়েকটি মোবাইল নম্বর। তবে তালিকাটি সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লাখাই উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ৬ হাজার ৭২০টি পরিবার পাচ্ছে নগদ আড়াই হাজার টাকা করে সরকারি অর্থ সহায়তা। এর মধ্যে লাখাই সদর ইউনিয়নে ১ হাজার ১৯৪ জন, মোড়াকরি ১ হাজার ১১৩, মুড়িয়াউক ১ হাজার ১৭৬, বামৈ ১ হাজার ২৪৬, করাব ১ হাজার ৬ ও বুল্লা ইউনিয়নে রয়েছেন ৯৮৫ জন।
মুড়িয়াউক ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, ১ হাজার ১৭৬ জনের মধ্যে তারা ৭৩০ জনের তালিকা তৈরি করেছিলেন। নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে না পারায় বাকি তালিকা লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার অফিসের লোকদের দিয়ে করিয়েছেন। আর তালিকাটি এখনও খসড়া পর্যায়ে আছে। এতে তার কোনো স্বাক্ষর নেই। এখনও কোনো টাকা বিতরণ করা হয়নি। বর্তমানে তারা সেটি সংশোধন করছেন।
এ বিষয়ে লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার সরকারি নম্বরটি রিসিভ করেননি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ বলেন, ‘খসড়া তালিকা জমা দেয়ার পর আমরা তাতে অনেক অনিয়ম খুঁজে পেয়েছি। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নেই সমস্যা হয়েছে।’
এদিকে, হবিগঞ্জ সদর উপজেলাসহ ৯টি উপজেলায়ও তালিকা তৈরিতে এ ধরনের অনিয়ম হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘তালিকাতে বেশ কিছু ত্রুটি থাকায় সেগুলো সংশোধন করা হচ্ছে। তবে একই মোবাইল নম্বরে কোনো অবস্থাতেই একাধিক ব্যক্তিকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হবে না। কেউ এই অপচেষ্টাটি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি আরও জানান, ‘শুধু মোবাইল নম্বরই নয়, তালিকাভুক্ত কোন ব্যক্তি সরকারি ভাতাভোগী হলে তিনিও বাদ পড়বেন।’